আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানের দাবি, টি-২০ ফরম্যাটে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল তারা। কারণ হিসেবে সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলাকে সামনে আনেন তিনি। আবার এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হওয়া টি-২০ ফরম্যাটের এশিয়া কাপে এই দুই দলের (আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা) বিপক্ষেই খেলতে হবে বাংলাদেশের। জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ মনে করেন, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলকে ভয় পাবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। কারণ বাংলাদেশ পূর্বে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে।
এশিয়া কাপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ছন্দে থাকা দীর্ঘদেহি পেসার তাসকিন বলেন, ‘আমার ও দলের প্রত্যাশা চ্যাম্পিয়ন হওয়া, এটাই মূল লক্ষ্য। আসলে আমরা শুধু অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি না। সর্বশেষ তিন সিরিজই জয় পেয়েছি। এটা আত্মবিশ্বাস দেবে। দলটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমরা একটু হারছিলাম। এখন উন্নতির ধারাটা দেখুন। এই ধারাবাহিকতা থাকলে অনেক ভালো কিছু হবে।’
তাসকিন জানান, ক্রিকেট চ্যালেঞ্জিং খেলা। প্রতি মুহূর্তে নিজেদের আপগ্রেড করতে হয়। উন্নতির জন্য বোর্ড ও ম্যানেজমেন্ট যথেষ্ট চেষ্টা করছে। ক্রিকেট দলীয় খেলা হলেও প্রস্তুতি ও উন্নতীর জন্য নিজেদের পদক্ষেপই বেশি নিতে হয়, ‘প্রস্তুতি ও উন্নতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে পদক্ষেপ নিতে হয়। দলের সবার ভূমিকা আলাদা। এখন প্রক্রিয়া ও সেলফ ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে সবাই অনেক সচেতন। ভুলগুলো কমে আসছে। এজন্য উন্নতি দৃশ্যমান হচ্ছে।’
বাংলাদেশ দু’বার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি। সেটাও হবে বলে আশ্বস্ত করেন তাসকিন, ‘টি-২০ অনিশ্চয়তার খেলা। ছোট দলও বিশ্বকাপে বড় দলকে হারায়। টি-২০ ফরম্যাটে এক ওভারে মোমেন্টাম শিফট হতে পারে। আমাদেরকে ভয় না পাওয়ার কারণ নেই। অতীতে আমরা ফাইনাল খেলেছি, চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বাকি। এটাও হবে ইনশাআল্লাহ।’
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের আসর শুরু হবে। বাংলাদেশ ১১ সেপ্টেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে। বাকি দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। এশিয়া কাপের ফরম্যাট অনুযায়ী, দুই গ্রুপ থেকে চার দল সুপার ফোরে উঠবে। ওই চার দল একে অপরের মুখোমুখি হয়ে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল ফাইনাল খেলবে।