বগুড়ার আদমদীঘিতে লাইসেন্স বিহীন হ্যাচারী ব্যবসা চালানোর অপরাধে কুদ্দুস আলী খান (৫৩) নামের এক হ্যাচারী মালিককে অর্থদন্ডসহ বিনাশ্রম কারাদন্ড ও নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ চাষ করার অপরাধে জনৈক ইমরুল সাহার হ্যাচারী সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট। গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে যৌথবাহিনীর অভিযানে উপজেলার ডহরপুর হ্যাচারী মালিককে কারাদন্ড ও তালসন পালপাড়া এনামুল হকের হ্যচারী সিলগালা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত কুদ্দুস আলী খান আদমদীঘি উপজেলা ডহরপুর গ্রামের সোলেমান আলী খানের ছেলে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদ হোসেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আদমদীঘি উপজেলা নিবার্হি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট নিশাত আনজুম অনন্যার নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল আদমদীঘি সদরের ডহরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় লাইসেন্স বিহীন হ্যাচারী ব্যবসা চালানোর অপরাধে মৎস্য হ্যাচারী আইন ২০১০ এর ১৮ (১) ধারামতে হ্যাচারী মালিক কুদ্দুস আলী খানের ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ লাখ টাকাসহ এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট নিশাত আনজুম অনন্যা। এছাড়া নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ চাষ করার অপরাধে তালশন পালপাড়া জনৈক ইমরুল সাহার হ্যাচারী সিলগালা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। আদমদীঘি থানার ওসি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দন্ডপ্রাপ্ত কুদ্দুস আলী খানকে ওইদিন জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।